প্রিয় উপদেষ্টা প্রধান ও ইসি মহোদয়,
১৮ কোটি গণ মানুষের পক্ষ থেকে আপনি/ আপনাদের অজস্র সালাম ও শুভেচ্ছা নিবেন, আমি একজন ক্ষুদ্র বৈধ নাগরিক ও চট্টগ্রাম জেলার স্থায়ী বাসিন্দা।
আপনাদের নিকট বিনীত আরজ করে আজ এই খোলা চিঠি লিখে জানাতেই মনের বেকুলতা প্রকাশ করছি।
দীর্ঘ বছর ধরে চলতে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন,নিপিড়ন, জুলুম,গুম-খুন, হত্যা সহ লুটপাটের রাজনীতি থেকে ছাত্র জনতার জুলাই – আগস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের সাংবিধানিক ভাবে দেশ গড়তে ও পরিচালনা করতে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার গঠনের জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ বছর আপনাদের দেশ পরিচালনায় অনেক দায়িত্বশীলতার মাঝে কিছু দ্রুটি- বিচ্যুতি দৃষ্টি গোচর হল।যা হয়তোবা আপনাদের দৃষ্টি গোচর করা জরুরি বলে মনে করছি…!
এদেশের মানুষ শান্তিতে ঘুম, মোটা চালের ভাত ও নিরাপদে সর্বাবস্থায় বসবাস এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা কামনা করে… ।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মূল কারণ ছিল অপরাজনীতি কর্মকান্ড ,নিরীহ মানুষের ওপর হামলা – মিথ্যা মামলা, জুলুম নির্যাতন সহ উন্নয়নের নামে সরকারি অর্থ লুট এবং দূর্নীতি অনিয়ম।
পূর্বের সেই অবস্থা বর্তমানে দৃশ্যমান একেবারেই চোখের সামনে প্রতিমূর্তি। মানুষ আপনাদের থেকে উচ্চ মানের চাওয়া ছিল অন্তত পক্ষে আইন শৃঙ্খলা সঠিক রক্ষা,সামাজিক নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজি চুরি, সন্ত্রাসী মুক্ত দেশ সমাজ কাঠামো বাস্তবায়ন।
কিন্তু দিন দিন বাড়ছে নিগ্রহের অভিযোগ ও সহিংসতা পূর্ণ।
বিগত ফ্যাসিস্ট রা বহুদলীয় গণতন্ত্রের বিএনপি, ইসলামী প্রন্থী ইসলামী (জামায়াতে)জোট, ছাত্র জনতার জুলাই স্মৃতি (এনসিপি), জাপা ( এরশাদ), ইসলামী আন্দোলন,বামজোট এর কিছু কিছু নেতার সাথে যোগা-সাজসে আবারো বিতর্কিত ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে ক্রাইম এন্ড ক্রিমিনাল এক্টিভিস্ট দায়ে দ্রুত আইনের আওতায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এই খোলা চিঠি লিখে জানালাম।
এই ক্রিমিনাল এক্টিভিস্ট লোকজন সহজ ভাবে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে থেকে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি সাধনে নির্লিপ্ত হচ্ছেন। দেশ গড়তে ও দেশের রক্ষক সেনাবাহিনীও আজ বিভিন্ন কারণে বা আচরণে হতবাক করেছে সংবিধানের মালিক খ্যাত আম- জনগণ কে…!
বিগত সরকারের আত্মীয় করণ কৃত সেনাবাহিনীর সদস্যরা দেশের মানুষ কে সত্যিকারের সেবা দিতে আজ অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ।
এছাড়াও বর্তমানে সারাদেশে এক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত জনজীবন, চারদিকে আইনের শাসন চরম হুমকিতে। নির্বাচন নিয়ে চলছে ভোটারদের মাঝে একটা আতঙ্ক ও নাটকীয়তা। তরুণ প্রজন্ম আজ বেশ চিন্তিত যে, বিগত বছরের ন্যায় এবারও ভোট দিতে পারবেন কি না….?
প্রার্থীরা এখন থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় এবং সংকৃত অবস্থায়।এর পিছনে অবশ্যই পলাতক শত্রুদের ইন্ধন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত রয়েছে বলে বিঞ্জ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন।
ঐ ক্রিমিনাল এক্টিভিস্টদের অবৈধ অর্থ,কালো টাকার উৎস এবং অনৈতিক ব্যবসা বানিজ্য আইনী ভাবে বন্ধ করতে না পারলে দেশে এরা একের পর এক অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন কর্মকান্ড ঘটিয়ে জনমানব কে বিষিয়ে তুলবে।
তাই ভোটের আগে এবং যত দ্রুত সম্ভব এই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর,লীগ নেতা,আমলা -ব্যবসায়ী, চিকিৎসক ,আইনজীবী-শিক্ষাবিদ ও ছদ্মবেশে থাকা সামাজিক এবং ধর্মীয় নেতাদের দমন করা অতিব জরুরী। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে যে, এই দোসরদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা ও কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে পারলেই দেশ সমাজে অনেক অরাজকতা কমে যাবে বলে সচেতন নাগরিক সমাজ মন্তব্য প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া আপনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে সত্যিকার অর্থে দেশ -সমাজ কাঠামো রক্ষায় ব্যবহার করতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।
খোলা চিঠিতে খোলামেলা মতামত জানিয়ে দেশ মাতৃকার উন্নয়নে সবাই কে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
নিবেদন
জনস্বার্থে সাংবাদিক বাবুল হোসেন বাবলা চট্টগ্রাম
