নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়, এর আওতাধীন রাজস্ব প্রশাসনে নিয়োগে কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম, ঘুষ ও বিপুল অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ জেলা রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে জনস্বার্থে এসব অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন মো: আমজাদ বেপারী নামক এক ব্যাক্তি।
এ অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে নিজ কার্যালয়ে কর্মরত মোঃ আক্তার হোসেন, উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বিভাগীয় কমিশনারের সিএ) জড়িত থাকার অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। আরো উল্লেখ করা হয়, তিনি কেবল তার পরিবারের সদস্য (শালি-আখি মনি, ভাগিনা-ইয়ামিন, ভাগিনা-ইজাজ আহম্মেদ) ও আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে নিয়ম বহিঃর্ভূতভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, উক্ত আক্তার হোসেন নিজের পিএস এর সহযোগিতায় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন আগের দিন পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ ঘুষ গ্রহণ করার পায়তারা করছেন। ইতোপূর্বে তিনি তার পরিবারের প্রায় ৬/৭ জনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জে নিয়োগ প্রদান করেছেন, যারা বর্তমানে কর্মরত আছেন।অভিযোগ মতে, তার আপন ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন গত ৭-৮ বছর যাবৎ এডিসি রাজস্বের সিএ। তার স্ত্রী ফৌজিয়া আক্তার, ক্ষমতাবলে নামজারী সহকারী হিসেবে সোনারগাঁ এসিল্যান্ডে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন।তার শালি (মুন্সিগঞ্জ জেলার কিন্তু নারায়ণগঞ্জ ঠিকানা ব্যবহার করে) গত নিয়োগে নামজারী সহকারী রূপগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে। তার ভাগিনা ইজাজা আহম্মেদ, অফিস সহায়ক, বন্দর ভূমি অফিস, নারায়ণগঞ্জ এ কর্মরত। তার ভাগিনা ইমরান, সায়রাত সহকারী, বর্তমানে পূর্বাচলে নাজির হিসেবে কর্মরত। তিনি নিজে প্রায় ১৫ বছর যাবত কমিশনারের গোপনীয় শাখায় কর্মরত, কোন বদলী নাই।
প্রশাসনিক প্রভাব ও পদ ব্যবহার করে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া হস্তক্ষেপ করছে এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগের আশ্বাস দিচ্ছেন।
এই ধরণের অবৈধ কার্যক্রম প্রশাসনের ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছেন বরং সংবিধান প্রদত্ত সমতা, ন্যায়বিচার এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগনীতির মৌলিকনীতিকে লঙ্ঘন করছে। ফলে যোগ্য মেধাবী প্রার্থীরা ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।অভিযোগে অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনাসমূহের বিষয়ে দ্রুত একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে আক্তার হোসেন এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
