পারিবারিক বন্ধন এখন ঠুনকো হয়ে গেছে। আর বংশের বন্ধন তো গেছে ছিন্নভিন্ন হয়ে।
স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ তো হর-হামেশা।মানব সভ্যতার আদি সংগঠন হচ্ছে পরিবার। পরিবার থেকেই গড়ে উঠে সমাজ। সুন্দর ও সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আদর্শিক পরিবার অপরিহার্য। পারিবারিক বন্ধন ছিল আমাদের গর্ব। কিন্তু গত এক যুগের ধারাবাহিক সমাজিক অস্থিরতায় মানুষের সকল বন্ধন যেন ছিন্ন হয়ে গেছে। সহিংসতা পৌঁছেছে শেষ প্রান্তে। সব যেন অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
বাড়ি-ঘর, পরিবার, মহল্লা, গ্রাম, সমাজভিত্তিক বন্ধন, সামাজিকতা সব যেন বন্ধনহীন হয়ে গেছে। অসুস্থ সংস্কৃতির অস্থির ধারা বহমান গোটা দেশে। তারপরও সমাজে কিছু কিছু কর্মকাণ্ড – প্রশংসা কুড়ায়। শেখায় অনেক কিছু। শেখায় করণীয় দিকগুলো। জোগায় প্রেরণা। যা হয়ে ওঠে একে অপরের জন্য অনুকরণীয়।আর এমন এক অনুষ্ঠান ছিল কাট্টলীর ঐতিহ্যবাহী ‘জেটি হাউজের সদস্যদের আয়োজনে বংশ কিংবা গোষ্ঠীর বন্ধন ধরে রাখার এক মিলনমেলা। অস্তিত্ব ধরে রাখতে শেকড়ের সন্ধানেকাট্টলীর ঐতিহ্যবাহী ‘জেটি হাউজের পরিবারের মিলনমেলায় দেখা গেল বন্ধন কত জরুরি প্রয়োজন।
প্রজন্মের কাছে ঐক্যের বন্ধনে দৃঢ়তার সঙ্গে আঁকড়ে রাখার যেন এক নিরন্তর চেষ্টা। অসহিষ্ণু মানসিকতা মানুষের কাছে, পরিবারের কাছে, গ্রামভিত্তিক সমাজের কাছে একটি উদাহরণ কাট্টলীর ঐতিহ্যবাহী ‘জেটি হাউজ। দৃঢ় এই পারিবারিক বন্ধন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাবে।
পরিবারটির শত শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সব বয়সীদের ছিল প্রাণখোলা উপস্থিতি। একই সঙ্গে সুশৃঙ্খল পরিবেশে খাওয়া-দাওয়া। খোশ মেজাজে একে অপরের খোঁজ-খবর নেওয়া। এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মতো পারিবারিক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শান্তি কামনা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধ তো দূরের কথা বংশগত বিরোধে কখনো জড়ানো যাবে না এমন মেসেজ দেওয়া হয়েছে। শুধু ঐতিহ্যবাহী ‘জেটি হাউজের বন্ধন নয়। এই বন্ধনের মধ্য দিয়ে এই সমাজ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান তারা।
