মঙ্গলবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাসররাতে নবদম্পতির নামাজ পড়া কি আবশ্যক?

ডেস্ক রিপোর্ট
নভেম্বর ৭, ২০২৫ ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী পুরুষের জন্য হালাল হয়। এটি পারিবারিক-সামাজিক বন্ধন সৃষ্টির পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তির মাধ্যমে। বিয়ের প্রথম রাতে প্রথমবারের মতো দুটি মন কাছাকাছি আসে। এই সংস্পর্শ দুজনের অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়।

বাসররাতে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ার কোনো নির্দিষ্ট বিধান নেই, তবে সাহাবীদের আমল থেকে এর প্রচলন রয়েছে। অনেক আলেম একে মুস্তাহাব বা উত্তম কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই নামাজ নবদম্পতির জন্য একটি বরকতময় আমল হিসেবে বিবেচিত এবং এটি নবদম্পতিকে আল্লাহর আনুগত্যে একত্রিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-

عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَجِيلَةَ إِلَى عَبْدِ ، فَقَالَ: إِنِّي تَزَوَّجْتُ جَارِيَةً بِكْرًا، وَإِنِّي قَدْ خَشِيتُ أَنْ تَفْرِكَنِي، فَقَالَ عَبْدُ اللهِ: إِنَّ الْإِلْفَ مِنَ اللهِ، وَإِنَّ الْفَرْكَ مِنَ الشَّيْطَانِ، لِيُكَرِّهَ إِلَيْهِ مَا أَحَلَّ اللهُ لَهُ، فَإِذَا دَخَلْتَ عَلَيْهَا فَمُرْهَا فَلْتُصَلِّ خَلْفَكَ رَكْعَتَيْنِ

হযরত আবু ওয়াইল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বজীলাহ গোত্রের এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ (রা.)-এর কাছে এসে বলল- আমি একটি কুমারী নারীকে বিবাহ করেছি এবং আমি ভয় পাচ্ছি যে সে আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করবে। তখন আবদুল্লাহ (রা.) বললেন, ‘তোমার মধ্যে স্নেহ (ইলফ) আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর ঘৃণা (ফর্ক) শয়তানের পক্ষ থেকে। শয়তান তাকে আল্লাহর হালালকৃত জিনিস থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবে। যখন তুমি তার কাছে প্রবেশ করবে, তখন তাকে বলো যে, সে যেন তোমার পেছনে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে।’ (তাবারানি ৮৯৯৩; মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক ১০৪৬১)

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ مَوْلَى بَنِي أُسَيْدٍ قَالَ: تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً، وَأَنَا مَمْلُوكٌ، فَدَعَوْتُ أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِيهِمْ أَبُو ذَرٍّ، وَابْنُ مَسْعُودٍ، وَحُذَيْفَةُ، فَتَقَدَّمَ حُذَيْفَةُ لِيُصَلِّيَ بِهِمْ، فَقَالَ أَبُو ذَرٍّ، أَوْ رَجُلٌ: لَيْسَ لَكَ ذَلِكَ، فَقَدَّمُونِي، وَأَنَا مَمْلُوكٌ، فَأَمَمْتُهُمْ فَعَلَّمُونِي قَالُوا: «إِذَا أُدْخِلَ عَلَيْكَ أَهْلُكَ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَمُرْهَا فَلْتُصَلِّ خَلْفَكَ، وَخُذْ بِنَاصِيتِهَا، وَسَلِ اللَّهَ خَيْرًا، وَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّهَ

হযরত আবু সাঈদ মাওলা বানী উসায়িদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি একটি নারীকে বিবাহ করেছিলাম, এবং আমি ছিলাম একজন দাস (মমলুক)। তখন আমি নবী (সা.)-এর সাহাবীদের, তাদের মধ্যে আবু ধর, ইবনে মাসউদ এবং হুযায়ফাহ (রা.) কে আমন্ত্রণ জানালাম। হুযায়ফাহ (রা.) আমাদের মধ্যে প্রথমে নামাজ পড়ানোর জন্য এগিয়ে আসলেন, কিন্তু আবু ধর বা একজন সাহাবী বললেন, ‘তুমি নামাজে ইমাম হতে পার না, কারণ তুমি মমলুক’। এরপর তারা আমাকে (ইমাম হিসেবে) সামনে রেখেছিলেন এবং আমি তাদের ইমামতি করলাম। তারপর তারা আমাকে কিছু শিক্ষা দিলেন। তারা বললেন, ‘যখন তোমার স্ত্রীর সাথে তোমার মিলন হবে, তখন দুই রাকাআত নফল নামাজ পড়ো এবং তাকে বলো, যেন সে তোমার পেছনে নামাজ পড়ে। তার শিরের চুল ধরে তাকে আল্লাহর কাছে মঙ্গল কামনা করো এবং তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও।’ (মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক ১০৪৬২, মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ১৭১৫৩)

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।