বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অজুতে ৭ ফজিলত

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ৪, ২০২৫ ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অনেকের কাছে অজু মানে নামাজের আগে তাড়াহুড়ো করে হাত-মুখ ও মাথা ধুয়ে নেওয়া। অথচ অজু শুরু পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম নয়, বরং দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জনের মাধ্যম।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর(১) এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৬)

অজুর করার ৭টি ফজিলত তুলে ধরা হলো—

১. গুনাহ মাফের উপায়

পাপ আমাদের মনকে ভারী করে ফেলে, ইবাদতের আনন্দ কেড়ে নেয়। অজু হলো এক বিশেষ মাধ্যম, যার মাধ্যমে আল্লাহ গুনাহ মাফ করেন। রাসুল (সা.) বলেছেন— অজুর সময় চোখ, হাত আর পায়ের সাথে করা পাপ পানির ফোঁটার সাথে ধুয়ে যায়।

কাজেই অজু প্রতিটি ধাপ মনোযোগ দিয়ে করুন, যেন কোনো অংশ শুকনো না থাকে।

২. শান্তির ঘুম

অজু করে ঘুমালে ফেরেশতা সারারাত আল্লাহর কাছে আপনার জন্য ক্ষমা চাইতে থাকেন। রাসুল (সা.) বলেছেন—যে ব্যক্তি পবিত্র হয়ে ঘুমায়, তার পাশে ফেরেশতা থাকে এবং দোয়া করে, ‘হে আল্লাহ, এ বান্দাকে মাফ করে দিন।

তাই ঘুমের আগে ওজু করে নিন, দেখবেন প্রশান্তির ঘুম হবে।

৩. রাগ নিয়ন্ত্রণ

রাগের মাথায় আমরা অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেই। রাসুল (সা.) বলেছেন— রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে, আর শয়তান আগুন থেকে তৈরি। আগুনকে নিভানো যায় শুধু পানি দিয়ে। তাই রাগ উঠলে অজু করো।

কোনো কারণে রেগে গেলে অজু করে দেখুন, আপনার মানসিক অবস্থা বদলে যাবে।

৪. কিয়ামতের দিন উজ্জ্বলতা

কিয়ামতের দিন রাসুল (সা.) তার উম্মতকে চিনবেন অজুর আলো দিয়ে। তিনি বলেছেন—আমার উম্মতকে অজুর চিহ্ন দ্বারা চিনে নেওয়া হবে।

তাই প্রতিদিনি নিয়মিত, ভালোভাবে অজু করুন।

৫. জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি

রাসুল (সা.) বলেছেন—যে কষ্ট সত্ত্বেও ভালোভাবে অজু করে, জান্নাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে।শীতের দিন পানি ঠান্ডা হলেও আল্লাহর জন্য সহ্য করে কষ্ট করে অজু করুন।

৬. অতীতের গুনাহের মাফ

রাসুল (সা.) বলেছেন— যে আমার মতো অজু করে এবং মনোযোগ দিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে, তার অতীতের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

অজুর পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার অভ্যাস করুন।

৭. অল্প পানিতে পবিত্র হওয়ার সুবিধা

অজু করার সময় আমরা অনেক সময় অযথাই অতিরিক্ত পানি খরচ করি। অথচ অজু করতে বেশি পানির প্রয়োজন হয় না। রাসুল (সা.) মাত্র এক ‘মুদ’ পানি (দুই হাত মিলিয়ে যতটুকু পানি ওঠে) দিয়ে ওজু করতেন।

অজুর সময় পানি অপচয় না করে অল্প পানিতে অজু করার চেষ্টা করুন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।