বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অথরাইজড অফিসার ইলিয়াস দুর্নীতির পাহাড় গড়লেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে রাজউক 

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ৫, ২০২৫ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর চাকরি সোনার হরিণ। ক্ষুধার্ত কাক আহার জোগারের থাকিদে বাজারের মায়া ভুলে অন্য কোথাও বসতি স্থাপন করতে পারে না। তবে দুর্নীতিবাজ সেন্ডিকেট পাহাড় গড়লেও দুর্নীতির নেশা ছাড়তে পারেন না। তারা শাস্তি ভোগ না করে অদৃশ্য কারণে থাকেন বহাল তবিয়তে।সাম্প্রতিক অনিয়ম, দুর্নীতি, ও ঘুষের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনকারী রাজউকের ১৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের তথ্য হাতে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক )।২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজউকের ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের সত্যতা পাওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে এ ধারাবাহিকতায় হালনাগাদ দুর্নীতিবাজদের তালিকা ধরে অনুসন্ধান শুরু করলে একাধিক ইলিয়াস সিন্ডিকেটের মতো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নাম দৃশ্যমান হবে। ইলিয়াসের বিরুদ্ধে প্রথম সারির একাধিক গণমাধ্যমে দুর্নীতির খবর চাউর হলেও লাগাম টেনে ধরছে না রাজউক।

জানা গেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক জোন-৫ এর পরিচালক হামিদুল ইসলামের মদদে ইলিয়াস দুর্নীতিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কোন এক অদৃশ্য ইশারায় তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে রাজউক প্রশাসন। ইতোপূর্বে অথরাইজড অফিসার ইলিয়াসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে আরো একাধিক কর্মকর্তা অথরাইজড অফিসার মেহেদী হাসান, ইমারত পরিদর্শক আরিফুজ্জামান শাহীন ,আরও অনেকে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রমাণসহ আসতেছে দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকার পরবর্তী সংখ্যায়।

এদিকে রাজধানীর তেজতুরিবাজার এলাকায় দুইটি অবৈধ ভবন নির্মাণের বিষয়ে গত মে মাসে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি অথরাইজড অফিসার ইলিয়াস। সূত্রের বরাতে দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকা এবিষয়ে ইলিয়াস এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি সত্য গোপন করে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। এছাড়াও ইলিয়াস সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ। রাজউকের চাকরি যেন আলাদিনের চেরাগ। কথিত আছে এ প্রদীপ ঘসলে দত্ত বেরিয়ে আসে এবং তিনটি আশা পূরণ করে। কিন্তু সবার বেলায় হয়না,কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে কারো দৈত্য মারা গেছে আবার অনেকের দৈত্য পালিয়ে গেছে।তবে ইলিয়াস এর দৈত্য বেঁচে আছে এবং আশাও পূর্ণ হচ্ছে।অগাস্টের প্রথম দিকে পরিচালক এবং অথরাইজড অফিসারকে অভিযুক্ত অবৈধ নির্মাণাধীন ভবনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আমাদের নজরে আসলে সেগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুসন্ধান বলছে,অথরাইজড অফিসার ইলিয়াসের সাথে অভিযুক্ত দুই ভবন থেকে মোটা অংকের ঘুষের লেনদেন হয়েছে। এঘটনাটি পরিচালকের নজরে দৃশ্যমান হলে ঘুষবাণিজ্যে ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে ০৮ অগাস্ট অভিযুক্ত দুই ভবনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে লোক দেখানো ডিপিডিসিতে একটি চিঠি প্রেরণ করেন।

এদিকে গত ১২ অগাস্ট ওই ভবনের কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে অথরাইজড অফিসার ইলিয়াস গণমাধ্যম কে বলেন , বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে ডিপিডিসি তে চিঠি দেয়া হয়েছে আপনারা ডিপিডিসির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

তথ্য বলছে, এ দুটি ভবন ছাড়াও অথরাইজড অফিসার ইলিয়াস এর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। এর মধ্যে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় হোল্ডিং নং ১৩১/১ এই বাড়িতে এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে নোটিশ করেছিলেন ০৮ জানুয়ারি কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও সাত দিন কখন শেষ হবে কেউই বোধগম্য নয়। তবে অথরাইজড অফিসার ইলিয়াস কি ব্যবস্থা নেবেন এমন প্রশ্নে হতাশা কাটছে না। অনুসন্ধান বলছে , ইলিয়াস মোটা অংকের ঘুষে লেনদেনের কারণে নোটিশগুলো ফাইলে আটকে পড়েছে।

ধানমন্ডির কলাবাগানে এক বাড়িতে ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে নোটিশ করেছিলেন অথরাইজড অফিসার মোঃ ইলিয়াস। জানাগেছে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে সেই নোটিশটিই গায়েব করে দিয়েছেন এই কর্মকর্তা যার কিছু তথ্য-উপাত্ত রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।

নকশার বাইরে ২০ ফিট থাকায় নিউ এ্যালিফ্যান্ট রোডের ল্যাবরেটরী রোডে হোল্ডিং নং ১১০,১১১,১১২ এবং একই দিনে হোল্ডিং নং ৮২ যা আবাসিক ভবনের অনুমতি থাকলেও বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে ব্যবহারের কারণে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মাদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে ভবনের মিটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ভবন আংশিক উচ্ছেদ করে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ ও ভবন ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তথ্য সূত্রে জানা গেছে, দুই ভবন থেকে মোঃ ইলিয়াসের সাথে ৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সকল নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ ও ভবন ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে ভবন মালিকেরা।

এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাওয়া হলে অথরাইজ অফিসার ইলিয়াস কোন সদোত্তর না দিয়ে কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে বিরক্তবোধ করেন এবং দায়সারা বক্তব্য দিয়ে অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করেন। ইলিয়াস এর অপকর্মের বিষয় জানতে চাওয়া হলে পরিচালক হামিদুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, আপনাদের কাছে অভিযোগ থাকলে আপনারা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।