বুধবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

উত্তরায় ছয় মাসে ১১২৮ ছিনতাইকারী গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী 

স্টাফ রিপোর্টার
অক্টোবর ১৬, ২০২৫ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেলে চড়ে অভিনব কৌশলে ছিনতাই করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। নিজেদের পরিচয় আড়াল করে অত্যন্ত চৌকসভাবে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে নাম্বার প্লেটবিহীন মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করে ছিনতাই চক্রটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ছিনতাইয়ের পরই দ্রুত সময়ের মধ্যে পোশাক বদল করে ফেলে। তবে শেষপর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে রেহায় মেলেনি।

ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের অভিযানে চক্রের প্রধানসহ দুই সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম শাওন (৩৯) ও তার সহযোগী মো. ফারুক হোসেন (৩৮)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত নাম্বারবিহীন দুটি মোটরসাইকেল এবং নগদ টাকা। রাজধানীর উত্তরায় গত ছয় মাসে ১১২৮ ছিনতাইকারী গ্রেফতারের পর ছিনতাইকারীরা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, উত্তরা বিভাগের (উত্তরা জোন) সহকারী কমিশনার (এসি) সাদ্দাম হোসাইন প্রমুখ।

সম্মেলনে ডিসি মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, গত চার মাসে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অন্তত সাতটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্র। ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বিদেশি নাগরিকও আছেন। প্রতিটি ঘটনার পর ছিনতাইকারী চক্রটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করায় দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশ তাদের শনাক্ত করতে পারছিল না।

ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ জুলাই বিকালে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ৫/বি সড়কে। যেখানে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এরপর ১৮ আগস্ট গাউসুল আজম এভিনিউতে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এভাবে গত চার মাসে সাতটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তদন্তে দেখা যায়, ঘটনাগুলোর ধরন প্রায় একই। তারা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিত, কেউ টাকা তুলে বের হলেই তাকে মোটরসাইকেলে অনুসরণ করত। সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছে ছোঁ মেরে ব্যাগ ছিনিয়ে মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যেত।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, চক্রের সদস্যরা মোটরসাইকেলে ভুয়া নাম্বার প্লেট লাগাত, আবার কখনো নাম্বারবিহীন বাইক ব্যবহার করত। মুখে হেলমেট থাকায় তাদের চিনে ফেলা কঠিন ছিল। তাদের শনাক্ত করতে উত্তরা বিভাগের পুলিশের বিশেষ দল ব্যাংকগুলোর সামনে দারোয়ান, রিকশাচালক বা বাইকচালক সেজে দীর্ঘদিন নজরদারি চালায়।

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৭ নাম্বার সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি রোডে সন্দেহজনক মোটরসাইকেল দেখে থামায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তখন দুজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ও ফারুক স্বীকার করেছে, জিল্লুর রহমান নামে তাদের আরও এক সহযোগী রয়েছে।

জানা গেছে, চক্রের হোতা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি ছিনতাই মামলা, আর ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।