রাতের আঁধারে মার্কেটের রাজধানীর উত্তরায় মালামালসহ মার্কেটের ভেতরে ‘দোকান উধাওয়ের’ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী দোকান মালিকের অভিযোগ, ২৬ অক্টোবর রাতে দোকান গুছিয়ে তালা মেরে তিনি বাসায় চলে যান। পরদিন সকালে ওই দোকান খুলতে এসে দেখেন প্রায় ১৮ লাখ টাকার মালামালসহ দুটি দোকান উধাও হয়ে গেছে। রাতারাতি দোকান উধাওয়ের এমন ঘটনা ঘটেছে রাজধানী উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় অবস্থিত ‘উত্তরা টাওয়ার’ নামক মার্কেটের নিচ তলায়। আর দোকান উধাওয়ের সঙ্গে মার্কেট মালিক এম এইচ রশিদ জড়িত বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী দোকান মালিক নিলুফা ইয়াসমিনের। তিনি গণমাধ্যম কে বলেন, উত্তরা টাওয়ারের নিচ তলায় আমার দুটি দোকান ছিল। একটি ভেষজ ওষুধ বিক্রির ও অপরটি মানি এক্সচেঞ্জের। সকালে দোকানের লোকজন দোকান খুলতে গিয়ে দেখে দুই দোকানের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে দোকান দুটিকে এক করে ফেলা হয়েছে। দোকানের মালামাল, এসি ও সাইনবোর্ডসহ সবকিছু লুট করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, মার্কেট মালিক এম এইচ রশিদ আমাদেরকে মার্কেট থেকে উচ্ছেদ করার জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর পাঁয়তারা করে আসছিলেন। আদালতে এ নিয়ে মামলাও চলমান রয়েছে। এখন তিনি গায়ের জোরে আমার দোকান ভেঙে ফেলেছেন। তিনি আরও বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমি উত্তরা পশ্চিম থানায় যাই ও থানার এসআই নুর আলম এসে সবকিছু দেখে গেছেন। কিন্তু, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উত্তরা টাওয়ারের মালিক ও ম্যাকস্টাট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এইচ রশিদ যুগান্তরকে বলেন, আমি তো অসুস্থ। চলাচল করতে পারি না। আমি জানি না। ওখানে লোকজন আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ করুন। এ ব্যাপারে উত্তরা টাওয়ারের মার্কেটিং ম্যানেজার মো. শওকত হোসেন ওই দুই দোকান ভেঙে ফেলার কথা স্বীকার করে সমতল মাতৃভূমি’কে বলেন, যতটুকু শুনেছেন তা ঠিক আছে। এটা একটা অফিশিয়াল ব্যাপার। আপনি একদিন আসেন। এলে কথা বলতে সুবিধা হবে।‘দোকান উধাও’তবে রাতের অন্ধকারে ওই নারীর দোকান ভেঙে মালামাল লুটের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মার্কেটের কাজ আমরা পরিষ্কারভাবে জানি রাতেই করে। এর বাইরে যদি কিছু জানতে চান, তাহলে আপনাকে অফিসে আসতে হবে।
এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নিলুফা ইয়াসমিন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম মোল্লা গণমাধ্যম কে বলেন, এরকম বিষয় আমার জানা নেই।
ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, আমি এরকম একটা অভিযোগ শুনেছিলাম। এ বিষয়ে থানা অবগত আছে। আমি ওসিকে বলেছি ভুক্তভোগীর সঙ্গে যাতে কোনো অবিচার না হয়।
