শিশুকন্যাকে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন মা রেশমা খাতুন (২৫)।
অভাবের তাড়নায় লামিয়া খাতুন নামে আড়াই বছরের এক শিশুকন্যাকে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন মা রেশমা খাতুন (২৫)। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রেশমা খাতুন ওই গ্রামের প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী। বছর দুয়েক আগে রহিদুল বিদেশে পাড়ি জমান। তবে প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে সংসারের জন্য টাকা পাঠাতে পারছিলেন না। এতে সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়। পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়েন রেশমা খাতুন। চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে রাগ ও ক্ষোভে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে মেয়েকে ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন এবং পরে নিজেও ঘরের আড়ের সঙ্গে রশি বেঁধে আত্মহত্যা করেন।
দীর্ঘ সময় ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে দরজা ধাক্কা দেন। ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দুজনের ঝুলন্ত লাশ দেখে দ্রুত পুলিশকে খবর দেন।খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ওসি সোলাইমান শেখ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
