কয়েক মাস আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন নন্দিনী রানী সরকার। তবে সেই আনন্দের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল বাবার দুশ্চিন্তাও। এ দুশ্চিন্তার অবসান ঘটিয়ে বুকভরা স্বপ্নের জাল বুনছিলেন।সে চুরমার হয়ে গেল প্রকৃতির নির্মমতায়।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে কীভাবে মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাবেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন অনেকেই।
সেই মেধাবী নন্দিনী আবারও সংবাদ শিরোনামে এলেন, কিন্তু এবার হৃদয়বিদারক কারণে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ‘অসুস্থ’ হয়ে মারা যান তিনি।
নন্দিনীর বাড়ি মানিকগঞ্জের গিলন্ড গ্রামে। এ বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় ১৩৩তম স্থান অর্জন করেছিলেন। তালিকা অনুযায়ী তিনি ভর্তিও হয়েছিলেন।
ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হয়ে দরিদ্র রোগীদের সেবা করা। কিন্তু মাত্র ১৮ বছর বয়সে অকালেই তার মৃত্যু সেই স্বপ্ন থামিয়ে দিল।
যে মেয়েটি অদম্য চেষ্টা আর মেধার জোরে দারিদ্র্যের বেড়াজাল ছিন্ন করে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুযোগ করে নিয়েছিল, তার এভাবে ঝরে যাওয়া সত্যিই মেনে নেওয়া কঠিন।
নন্দিনীর জন্য আজ শুধুই আফসোস আর দীর্ঘশ্বাস। দেশের একটি সম্ভাবনাময় নক্ষত্র ‘এভাবে’ হারিয়ে গেল, যা আমাদের সমাজের এক গভীর ব্যর্থতার কথাই মনে করিয়ে দেয়।