ভারতের বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) কর্মকর্তার ছদ্মবেশে সশস্ত্র একদল ডাকাত প্রায় ৭ কোটি রুপি লুট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মোট নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায়, আগের সাতজনের পাশাপাশি আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং লুট হওয়া টাকার মধ্যে ৬.৮৫ কোটি রুপি উদ্ধার করা গেছে।বেঙ্গালুরু দক্ষিণ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার লোকেশ জাগালাসার বলেন, তদন্ত চলছে। আরও কতজনকে গ্রেফতার করা হবে এখনই বলা যাচ্ছে না।
গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া এই নাটকীয় ঘটনাটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাংকের কাগজপত্র যাচাইয়ের কথা বলে। পুলিশ জানায়, ডাকাতরা নিজেদের আরবিআই কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাকা বহনকারী একটি ভ্যান থামায় এবং বলে, বড় অঙ্কের টাকা বহনের কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। এরপর ভ্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে একটি এসইউভিতে ওঠার নির্দেশ দেয়। এ সুযোগে ডাকাত দলের একজন ভ্যানটি নিয়ে সটকে পড়ে।
তদন্তে দেখা গেছে, ডাকাতরা গাড়ি বদল করেছে, ভুয়া নম্বরপ্লেট ব্যবহার করেছে এবং নগদ অর্থের বাক্সগুলো স্থানান্তরের জন্য সিসিটিভিবিহীন এলাকা বেছে নিয়েছে।
বুধবার থেকে এ ঘটনার পর ব্যাপক অভিযান শুরু হয়। কর্ণাটক ছাড়াও কেরালা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র প্রদেশ এবং গোয়া—মোট ছয়টি রাজ্যে ২০০–র বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন নগদ পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান সিএমএস–এর কর্মী গোপাল প্রসাদ, প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী জে জাভিয়ার এবং স্থানীয় এক পুলিশ কনস্টেবল আনাপ্পা নায়ক।
এ ঘটনায় সিএমএস প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা এবং নগদ পরিবহন নীতিমালা ভঙ্গ হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করছে পুলিশ। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার সীমান্ত কুমার সিংহ বলেন, নগদ টাকাবাহী ভ্যানগুলো যেন প্রতিদিন একই রুট ও একই সময়ে চলাচল না করে। এতে এগুলো সহজে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
সূত্র: বিবিসি
