ডেস্ক রিপোর্ট : সাম্প্রতিক বাংলাদেশে সংক্রমণজনিত রোগের অন্যতম কারণ টাইফয়েড জ্বর। এটি স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হয় এবং মূলত দূষিত পানি ও খাবার থেকে ছড়ায়। এ রোগ প্রতিরোধে টিসিভি (টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন) টিকা কার্যকর ও নিরাপদ বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
টিসিভি টিকা কতটা নিরাপদ?
এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক যাচাইকৃত (প্রিকোয়ালিফাইড) এবং ইতোমধ্যেই পাকিস্তান, নেপালসহ বিভিন্ন দেশে শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও এটি নিরাপদভাবে প্রয়োগ করা হবে। টিকা নেওয়ার পর সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা, ব্যথা বা লালচে দাগের মতো হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, তবে সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই সেরে যায়।
কারা এই টিকা পাবেন
প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমান পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুরা কাছের ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবে।
১৫ বছরের বেশি বয়সিরা চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজ উদ্যোগে টিকা নিতে পারবেন।
কীভাবে দেওয়া হবে টিকা?
২ বছরের কম বয়সিদের উরুর মাংসপেশিতে
২ বছরের বেশি বয়সিদের বাহুর উপরের অংশে
বিশেষ নির্দেশনা
গর্ভবতী বা দুগ্ধদানকারী মা এই টিকা নিতে পারবেন না।
টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় টিকা দেওয়া যাবে না; তবে সুস্থ হওয়ার পর নেওয়া যাবে।
আগে টাইফয়েডে আক্রান্ত হলেও বা আগে টিকা নেওয়া থাকলেও ৯–১৫ বছরের শিশুদের ক্যাম্পেইনে পুনরায় টিকা নিতে হবে।
অন্য টিকার সঙ্গে একসঙ্গে বা আগে-পরে নেওয়া যাবে।
টাইফয়েড টিকা নিয়ে ভুল ধারণা
অনেক সময় টিকা দেওয়ার দিনে একসঙ্গে কয়েকজন কিশোরী অসুস্থ বোধ করে বা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে Mass Psychogenic Illness বলা হয়। এটি মানসিক ভীতিজনিত প্রতিক্রিয়া, টিকার কারণে নয়। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
টিকা কোথায় পাওয়া যাবে?
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে দেওয়া হবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া
টিকা নিতে হলে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের ১৭ ডিজিটের তথ্য দিয়ে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের সময় কোন কেন্দ্রে টিকা দেওয়া যাবে সেটিও পূরণ করার অপশন থাকবে।