স্টাফ রিপোর্টার : দেশের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রেখে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সরকারের কর্পোরেট দপ্তরসহ ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যরা দিন-রাত নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাম্প্রতিক শারদীয় দুর্গাপূজায় তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা সর্বস্তরে প্রশংসার দাবি রাখে।
এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন উদ্যমে পুলিশ বাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখেছেন। তবে এই আন্তরিক প্রচেষ্টার মধ্যেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্তব্যরত পুলিশের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা এটা রাষ্ট্রের জন্য কোন ভাবেই কাম্য নয়।
সংগঠনটি জানায়, ৪ অক্টোবর নরসিংদীতে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। একই দিনে বগুড়ার শিবগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠনের এক সদস্যকে গ্রেফতারের সময় অতর্কিত হামলায় হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরদিন ৫ অক্টোবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্টে ট্রাক শ্রমিকদের হামলায় আরও পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। সর্বশেষ ফেনীর সোনাগাজীতে থানার পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন বলছেন, একটি অপরাধী চক্র পরিকল্পিতভাবে পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। সংগঠনটি মনে করে, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পেশাগত কাজে বাধা দেওয়া ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা জনশৃঙ্খলা ও আইনের শাসনের বিঘ্নিত করা।
এসোসিয়েশন আরও জানান, এসব বেআইনি ও পরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে আরও কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি সংগঠনটি এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলছেন, বাংলাদেশ পুলিশ আইন অনুযায়ী সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে যথেষ্ট তৎপর থাকবে। তবে পেশাদারিত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আদর্শ ও লক্ষ্য শতস্পুর্তভাবে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।