কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বালুমহালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গুলিবর্ষণে ৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে লাহিনী এলাকার সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর নিচে বালু উত্তোলনের সময় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে লাহিনী এলাকার সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর নিচের বালুমহালে আধিপত্য বিস্তার করতে মজিদ ও মির্জা মাষ্টারসহ প্রায় ১৫ জন ইজারাদারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এ সময় আগন্তকদের হামলায় ইজারাদারের পক্ষের শহীদ নামের ব্যক্তি আহত হন এবং তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শহীদের ভাই জাহিদ বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় এজাহার জমা দেন। এই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে প্রায় ১৫/২০ জন আগ্নেয়াস্ত্রসহ বালুমহালে এসে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় বালুমহালে দায়িত্বে থাকা লাহিনীপাড়ার হুজুর আলীর ছেলে ফরিদ হোসেন (২৭) ও একই এলাকার ইদ্রিসের ছেলে সবুজ (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া হামলায় আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইজারাদার সাজেদুর রহমান বিপুল জানান, তারা বৈধপন্থায় লাহিনী বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন। বালুমহাল ইজারা পাবার শুরু থেকেই মজিদ ও মির্জা মাস্টার বিভিন্নভাবে ঝামেলা সৃষ্টিসহ মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে তাদের কাছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মজিদ ও মির্জা মাস্টার লোকজন নিয়ে এসে তাদের একজনকে পিটিয়ে আহত করে। হামলার ঘটনায় আহতের ভাই কুমারখালী থানায় এজাহার দিয়েছেন।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ১৫/২০ জন আগ্নেয়াস্ত্রসহ এসে গুলিবর্ষণ করলে তাদের দুজন গুলিবিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানান।
কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, শুক্রবার গভীর রাতে সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতু সংলগ্ন বালুমহালে গুলাগুলি হয়। এতে ৬ জন আহত হয়েছেন। এখনো কোনো অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
