লাইন ফিজিওথেরাপিতে পিএইচডি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ৭টি বিয়ে করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নারীদের নিঃস্ব করার অভিযোগ উঠেছে টৌকাই মোস্তফার বিরুদ্ধে। মোস্তফা নিজ গ্রামে দিনমজুরের কাজ করত। শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রাইমারী গন্ডি না পেরুলেও প্রতারণায় অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেছে। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা এ প্রতারক পাবনার খাশচর ধোপারাখোলা গ্রামের বেলাল সরদারের ছেলে। গ্রামে বিয়ে করে তিন সন্তানের জনক। প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে খুলনায় পালিয়ে যায়। বাড়িতে স্ত্রী সন্তান থাকলেও হিন্দু তপন নাম দিয়ে এক এনজিও কর্মী হিন্দু নারীকে বিয়ে করে টাকা পয়সা হাতিয়ে বগুড়া পালিয়ে যায়। সেখানে প্রতারণা করে আরেক নারীকে বিয়ে করে। সেখান থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়া গিয়ে আরেক নারীকে বিয়ে করে টাকা পয়সা হাতিয়ে ঢাকায় পালিয়ে এসে বনশ্রীর একটি বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে।
বনশ্রীতে অবস্থান নিয়ে ফেরদৌসি নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। আবার সাহানাজ নামে অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া পরে বিয়ে দু’জনকে বিয়ে করে। তাদের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তের অনৈতিক ভিডিও গোপনে ধারণ করে কথার অবাধ্য হলে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং। ভুক্তভোগী নারীরা প্রতারণা বুঝতে পেরে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করলে গোপনে করা ভিডিওর ভয় দেখিয়ে একই কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিঃস্ব করে দেয়। পরবর্তীতে পিরোজপুর, নোয়াখালীতে আরও তিনটি বিয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই তথ্য প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে এসেছে।
এদিকে রাজধানীর মহাখালী লাইফলাইন ফিজিও থেরাপির মাধ্যমে চট্টগ্রামের সিতুল মুনা চৌধুরীর সাথে পরিচয় হয় এবং তাকে থেরাপির চিকিৎসা করতেন। প্রথমে পরকীয়া পরে বিয়ে। তিনি লন্ডন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছে বলে মুনা কে আশ্বস্ত করেন। মুনার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কর্মকান্ডের আদ্যোপান্ত ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করে তাকেও জিম্মি করে রাখে।মুনা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ও কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।কারণ ভিডিও প্রকাশ করে দেবে এমন হুমকি রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে প্রতারক মোস্তফা অমিতশাহ একজন ভারতের যৌন বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিতেন ও অনুপম ব্যানার্জী নাম দিয়ে একাধিক ফেসবুক পেজ খুলে প্রায়ই নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে আবার কাউকে আক্রমণ করে হুমকি ও গালমন্দ করছে। অনুপম ব্যানার্জী একজন ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিচয় দিতেন।কেউ ফোন দিয়ে কথা বলতে চাইলে এ প্রতারক কন্ঠ চেঞ্জ করে কথা বলতেন। তবে এ ফেসবুক পেজগুলো প্রতারক নিজেই চালাত। এসব তথ্য ভুক্তভোগী স্ত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়।
প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোস্তফা সরদার তপন। তার রয়েছে একাধিক এনআইডি। তাকে এখনি আইনের আওতায় আনা উচিত, অন্যথায় নারীসমাজ কে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সম্মান নষ্ট করবে।
সর্বশেষ সিতুল মুনা চৌধুরীর সাথে কাটানো অনৈতিক ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনব্যবসায় বাধ্য করে। সাম্প্রতিক যৌনব্যবসার কারণে মরনব্যাধী এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি মুনার একাধিক খদ্দের জানতে পেরে মুনা অর্থ সংকটে পড়েছে।তাই মুনা এখন নিরুপায় হয়ে ৩/৫ শত টাকার বিছানা সঙ্গী। এর ফলে সমাজে এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারে অনেক যুবসমাজ। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরে এনে যথাযথ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। অন্যথায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে একাধিক নিরীহ মানুষ। সমাজে প্রতিনিয়ত মরনব্যাধী এইডস মহামারী ছড়িয়ে পরবে এর ভোগান্তি পোহাতে হবে গোটা বাংলাদেশ।
