মঙ্গলবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চীনে নারী পাচার চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার: র‍্যাবের ব্যাপক সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার
অক্টোবর ২১, ২০২৫ ৬:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চীনে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের পাচার করে যৌনপল্লিতে বিক্রির অভিযোগে একটি মানব পাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪। এই চক্রের বিরুদ্ধে গত ৩ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরে ‘চীনের বন্দিদশা থেকে তরুণীর আকুতি/ আরও বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করুন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও সমতল মাতৃভূমি ডটকম অনলাইনে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত এই সংবাদকে আমলে নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে র‌্যাব জানিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম জানান, গ্রেফতারকৃতরা হলো-চক্রের মূলহোতা আব্বাস মোল্লা, সদস্য জাহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু, মিনার সরদার ও মোহাম্মদ রিপন শেখ। মামলা হওয়ার পর চক্রের অন্যতম হোতা সিলভিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। এই চক্রের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিস, ভিসা সেন্টার এবং ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই জড়িত। জড়িতরা প্রভাবশালী হলেও তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে র‌্যাব।

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, ভুক্তভোগী তরুণী পিরোজপুরের একটি বিউটি পার্লারে চাকরি করতেন। এ বছরের মার্চে ফেসবুকে চীনে উচ্চ বেতনের চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে বাবু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। পরে বাবুর পরামর্শে তার বোনসহ ঢাকায় আসেন। চক্রের সদস্যরা তাদের পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ সম্পন্ন করে ১৩ জুন চীনে পাঠায়। তবে সেখানে গিয়ে তাদের বিউটি পার্লারে চাকরি না দিয়ে জোরপূর্বক যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয় চক্রটি। চক্রের সদস্যরা অনৈতিক কাজের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল ও শারীরিক নির্যাতন চালায় পাচারকৃত বাংলাদেশি তরুণীদের।এদেরই একজন কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ৩০ সেপ্টেম্বর শাহ আলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী তরুণী যুগান্তরকে বলেন, প্রতারিত হওয়ার পর দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কারও সহযোগিতা পাচ্ছিলাম না। থানা পুলিশ শুরুতে কোনো সহযোগিতাই করেনি। একপর্যায়ে মামলা নিলেও এজাহারে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়। শুধু তাই নয়, মামলার পরপরই বিষয়টি জেনে যায় চক্রের সদস্যরা। পুলিশ আসামি ধরার পরিবর্তে তাদের কাছে তথ্য পাচার করে দেয়। এতে আমার জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে র‌্যাব তৎপর হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই চারজন আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।

তিনি বলেন, পুলিশ তৎপর হলে চক্রের অন্যতম হোতা সিলভিয়াকে অনেক আগেই গ্রেফতার করা যেত। সে তিন দিন আগে চীনে পালিয়ে গেছে। ভিকটিমের প্রশ্ন-আসামির পাসপোর্ট যদি পুলিশের হাতে থাকে তাহলে তিনি দেশের বাইরে গেলেন কীভাবে?

উল্লেখ্য যে সাম্প্রতিক পুলিশের গাফিলতিতে অনেক নারী সেবার বিপরীতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে আদালতের নালিশি মামলায় থানায় তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হলে বেশিরভাগ তদন্ত রিপোর্ট নারীদের বিপক্ষে চলে যায়। তাদের অভিযোগের বিষয় থোরাই কেয়ার করা হয়। প্রতিপক্ষ ঘুষ দিয়ে রিপোর্ট হালকা করে দেয় পুলিশ। নারীদের হুমকিসহ জীবন ঝুঁকি বেড়ে যায়।এ কারণে থানাগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো উচিত।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।