সোনারগাঁও প্রতিনিধি : উন্নয়ন তহবিলের কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ, তথ্য অধিকার আইনেও মিলছে না সঠিক তথ্য। সোনারগাঁ উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় চরমভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ইউএনওর কর্মকাণ্ড। গত অর্থবছরে এডিপি ও ইউডিএফ ফান্ড হতে PIC করণের মাধ্যমে কতগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, কত টাকার কাজ হয়েছে এ বিষয়ে সাংবাদিকের তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও কোনো তথ্য মেলেনি।
জানা গেছে তথ্য আইন অনুযায়ী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য দেওয়ার কথা থাকলেও চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে পাঁচ মাস চললেও সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন সাংবাদিকদের আবেদন উপেক্ষা করে চলেছে। উল্টো যারা তথ্য অধিকার ফরম পূরণ করেছেন, সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই চলছে নানা ষড়যন্ত্র।
স্থানীয় সূত্র বলছে, গত এক বছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার নামে ফান্ড এনে অধিকাংশ কাজ নামমাত্র করা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই কোনো কাজই হয়নি। অথচ ফাইলপত্রে এসব কাজ দেখানো হয়েছে সম্পন্ন। অভিযোগ উঠেছে, এভাবে অন্তত ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলায় বর্তমানে কোনো জনপ্রতিনিধি ও পৌরসভার মেয়র না থাকায় প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে উন্নয়ন ফান্ডে ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ নেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। এ ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও উঠেছে।
সচেতন মহল বলছে, সাংবাদিকদের নীরব বা বিভ্রান্ত করে রেখে যদি কোটি কোটি টাকার ফান্ড লুটপাট হয়, তবে তা সোনারগাঁবাসীর সঙ্গে নির্মম প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। এ অর্থ জনগণের করের টাকা, তাই এর হিসাব জনগণ জানবে—এটাই আইনগত ও নৈতিক অধিকার।
প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা এ বিষয়ে এখনও কোনো বক্তব্য দেননি।
সোনারগাঁবাসী প্রশ্ন রাখছে—এত বড় দুর্নীতির অভিযোগের কোনো অনুসন্ধান কি শুরু হবে না?