শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে নিহত প্রবাসী আবু বকর। ছবি: সংগৃহীত
শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের আব্দুল্লাহপুরে রাব্বি ও পারভেজ নামের দুই কিশোর গ্যাংয়ের চুরিকাঘাতে আহত প্রবাসী আবু বকরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
নিহত প্রবাসী আবু বকর সদর দক্ষিণ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ের জামাই এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেন্ডা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুইটির সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেন্ডা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে প্রবাসী আবু বকরের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর গত শনিবার আব্দুল্লাহপুর শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন আবু বকর। সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী অলিরবাজার থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার সময় আব্দুল্লাহপুর গ্রামের কিশোর গ্যাং ফজলে রাব্বি ও পারভেজের সাথে গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে শ্যালক শান্তর বাকবিতন্ডা হয়। কিশোর গ্যাং সদস্যরা শ্যালক শান্তকে মারধর করলে প্রতিবাদ জানায় সদ্য বিবাহিত প্রবাসী আবু বকর।শ্যালককে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে কিশোর গ্যাং ফজলে রাব্বি ও পারভেজ আবু বকরের বুকে চুরিকাঘাত করে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আবু বকরকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে গত ৯ নভেম্বর কিশোর গ্যাং কর্তৃক স্বামী আবু বকরকে চুরিকাঘাতের ঘটনায় রাব্বি ও পারভেজকে আসামী করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার সুইটি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে জামাই মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শ্বশুর দেলোয়ারসহ স্বজনরা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম জানান, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
