গাজীপুর-১ আসনের অন্তর্গত কালিয়াকৈরজুড়ে আধিপত্যের এক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। অভিযোগ রয়েছে, তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সালিশির নামে বাণিজ্যসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা মূলত আওয়ামী লীগের শাসনামলের সুবিধাভোগী ও হাইব্রিড নেতা হিসাবে পরিচিত। যাদের মধ্যে অনেকে উপজেলা ও পৌর কমিটিতে পদ পেয়েছেন। আর এসব অপকর্ম চলছে জেলার এই শীর্ষ নেতার ছত্রছায়ায়। ক্ষমতাধর নেতার দাপটে এলাকার বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরাও আতঙ্কে রয়েছেন। এসব অপকর্মের বিষয় এখন মানুষের মুখে মুখে। বলা যায়, ‘ওপেন সিক্রেট’। কিন্তু হয়রানির ভয়ে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। গত কয়েকদিন সরেজমিন এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শারীরিক নির্যাতন ও সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইশরাক আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন তার বড় ভাই চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবার সঙ্গে দীর্ঘ ৮ বছর আমাকে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছেন না ইশরাক আহমেদ চৌধুরী।’ তিনি আশঙ্কা করেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে ও ফুসলিয়ে অসুস্থ পিতার মূল্যবান সম্পত্তি তার ছোট ভাই নিজ নামে করায়ত্ত করারঅপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। তিনি আরও জানান, তার জীবনের ক্ষতিসাধন করবে মর্মে প্রতিনিয়িত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ইশরাক। এমতাবস্থায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে বিএনপির একজন নেতা হিসাবে তিনি (ইশরাক) যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন, সেজন্য বিএনপির হাইকমান্ডেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী।
