মঙ্গলবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ন্যায়ভিত্তিক ও নারীবান্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে কাজ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

শুভাশীষ (শুভ)
নভেম্বর ২২, ২০২৫ ২:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নিজেদের এবং দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে। একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক, পরিবেশবান্ধব ও নারীবন্ধব সমাজ গঠনে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের এক্সপো ভিলেজে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবর্তনে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা যে বাংলাদেশকে চিনি, আমাদের সন্তানরা হয়তো সেই মানচিত্র আর দেখবে না—যদি আমরা এখনই সচেতন না হই।

তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, বনধ্বংস ও নদী দূষণের মতো সমস্যা রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে ধাপে ধাপে সমাধান করা গেলে পরিবর্তন সম্ভব। ইতোমধ্যে নদী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং পরিবেশ রক্ষায় আইন-নীতির সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান। যথাযথ সহযোগিতা পেলে এসব উদ্যোগ আরও গতিশীল হবে।

প্রাণীকল্যাণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ধর্মও আমাদের প্রাণীর প্রতি দয়া করতে শেখায়। অথচ আমরা অনেক সময় মানুষ তো বটেই, প্রাণীদের প্রতিও নিষ্ঠুর হই। মানবিক সমাজ গড়তে হলে প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি সদয় হতে হবে।

ভালো প্রজন্ম গঠনে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে হলে নিজেদের মধ্যেই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হব। তিনি আরও বলেন, অতীতের অন্যায়-অবিচার ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানুষের স্বপ্নই বহুবার সমাজকে এগিয়ে নিয়েছে।

সমাজে নেতিবাচক প্রচারণা বাড়ায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বৈষম্যহীন সমাজ। তাই রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের রাজনীতি।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সমস্যা গভীর– এক-দুই বছরে সব সমাধান সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেককে তার নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব নিতে হবে, সমাজের জন্য ভাবতে ও কাজ করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে, স্বপ্ন দেখতে হবে এবং মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন– বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফারাহনাজ ফিরোজ; ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউনুছ মিয়া এবং রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আব্দুল মতিন।

সমাবর্তনে পাঁচটি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ থেকে মোট ১ হাজার ৪০৭ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ সিজিপি অর্জনের জন্য পাঁচ অনুষদ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং আরও ৪০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।