বৈশ্বিক সামরিক বিমানবাহিনীর সামগ্রিক শক্তির নিরিখে চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় ও এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীনা মিডিয়া।
সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অব মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্র্যাফ্ট (ডব্লিউডিএমএমএ)-এর ২০২৫ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ১০৩টি দেশ ও ১২৯টি বিমান পরিষেবার মোট ৪৮ হাজার ৮২টি বিমান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ তালিকায় ভারতের থেকে এগিয়ে আছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। আর দীর্ঘদিন ধরে তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীন এক ধাপ নিচে নেমে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করছে চীনা মিডিয়াগুলো।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস, চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ ঝাং জুনশের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে- এই র্যাঙ্কিংকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত নয়। তার মতে, কোনো সেনাবাহিনীর আসল শক্তি তার প্রকৃত যুদ্ধ ক্ষমতা থেকে বোঝা যায়, কাগজে দেখানো র্যাঙ্কিং থেকে নয়।
ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অব মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্র্যাফ্টের এই ক্রমতালিকা কেবল যুদ্ধবিমানের বিবেচনাতেই তৈরি হয়নি, সার্বিক শক্তির নিরিখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
সংস্থাটির ‘ট্রু ভ্যালু রেটিং’ অনুযায়ী, ভারতের স্কোর ৬৯.৪ এবং চীনের ৫৮.১। ভারতের কাছে এই মুহূর্তে রয়েছে ১ হাজার ৭১৬টি সামরিক বিমান রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ শতাংশ যুদ্ধবিমান।
এদিকে ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অব মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্র্যাফ্টের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রু ভ্যালু রেটিং ২৪২.৯। জাপান এবং ইসরাইল এই তালিকায় যথাক্রমে চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
এরপরেই চীনের অবস্থান হলেও তালিকার ১৪তম স্থানে জায়গা পেয়েছে ভারতের চির বৈরী প্রতিবেশী পাকিস্তান।
