বুধবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভয়ংকর দখল চক্র, হট স্পট চন্দ্রিমা মডেল টাউন #নেপথ্যে কামরুল #এখনো প্রকাশ্যে এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ 

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩১, ২০২৫ ১২:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলের দোহারের মুকসুদপুরের রেজাউল করিম। পেশায় একজন রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে দুটি পৃথক দলিলে পরিবার নিয়ে বসবাস করার উদ্দেশ্যে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন চন্দ্রিমা মডেল টাউন হাউজিংয়ে। কালক্ষেপণে সেখানে তিনটি দোকান এবং একটি ফ্ল্যাট নির্মাণ করেন। এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাট কামরুল ইসলাম’কে মাসিক ১৫০০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেন। কিন্তু ভাড়াটিয়া কামরুল রেজাউলের সম্পত্তি দখলে নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।

দেখা গেছে ২০১৫ সালে আদালতে রেজাউল করিম কামরুলের বিরুদ্ধে একটি উচ্ছেদ মামলা দায়ের করে। আদালতে মামলা সঠিক প্রমাণ হলে ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রেজাউল করিমের পক্ষে রায় দেয়। তবে, আদালতের রায় পাওয়ার পরেও কামরুল তার দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখে। অন্যদিকে জমির মালিক রেজাউলকে ফাঁসাতে তৈরি করে নানা অপচেষ্টা।

গেল মাসের ১৭ অক্টোবর  ঘটানো হয় সুপরিকল্পিতভাবে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রেজাউল করিমের বাড়ির অপর এক ভড়াটিয়ার ওপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। লুট করা হয় বাসার সমস্ত মালামাল।

১৮ অক্টোবর  সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায়  উলটো রেজাউল করিম ও তার পরিবারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে কামরুলের স্ত্রী  মাকসুদা আক্তার মুক্তা। যার মামলা নম্বর-৫৯ । এ যেন জোর যার মুল্লুক তার। এই প্রবাদ বাক্যটির বাস্তব রূপ।

মামলার বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সংবাদদাতা বাদী মাকসুদা আক্তারের সাথে। তিনি মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, রেজাউল দিল্লি থাক আর অন্য জায়গায় থাক। সে তো মূল হোতা। মূল হোতা কোনোদিন সামনে থাকে? ও আগে এখনকার কেয়ারটেকার ছিলেন, এখন জাল জালিয়াতির করে ভুয়া কাগজ বানিয়ে এগুলো দখল করার চেষ্টা করছে। ওর বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।

মিথ্যা মামলা কিনা তা জানি না। এটাতো বাদীর বিষয়? দুই পক্ষের লক্ষ্যই ছিল দখল করা। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই পাওয়া যায়। মুঠোফোনে ৩১(অক্টোবর) দুপুরে এমনটাই জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মোমিন।

হামলার সময় জমির মালিক রেজাউল করিম কর্ণফুলি টানেল যোগে পরিবারসহ অবকাশ যাপনে কক্সবাজারে  অবস্থান করছিলেন। সেখানে তিনি কলাতলী বিচ এলাকায় হোটেল ইকো রিসোর্ট নামে একটি রিসোটে রাত্রী যাপন করেন।

ইতোমধ্যে কর্ণফুলি টানেল যোগে আসা যাওয়ার দুটো টোকেন এবং ওই রিসোটটির একটি বিল ভাউচার প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।

তবে এর আগে ১৩/১০/২০২৫ সালে জমির মালিক রেজাউল করিম একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছিলেন কামরুল হাসান, ও মাকসুদা আক্তার মুক্তাসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

এদিকে ভুক্তভোগী রেজাউল করিম বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, কামরুল ও তার পরিবার গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার আন্দোলন দমাতে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাবেক পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের অস্থাভাজন ছিলেন। কামরুল তার আপন শাশুড়ি বোনের সম্পত্তি ও দখল করেছেন। তৎকালীন সময়ে দোহার প্রেসক্লাবের ট্যাগে চালিয়েছে আরো দখল কাণ্ড।এবং খালা শাশুড়ির জায়গা দখল করেছেন তিনি। তখন তিনি বিগত সরকারের দাপুটে প্রভাব খাটিয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

এই ঘটনার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে, এমন অব্যাহত দখল চক্রের পেছনে কে বা কারা রয়েছে এবং কীভাবে দখল পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।