ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে চার গ্রামবাসীর মধ্যে ৩ ঘণ্টা মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অনেক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এ প্রতিবেদন লেখার সময় (৬টা) পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জমি-জমা বিরোধ নিয়ে গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় রোববার বিকালে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। আশপাশের কয়েক গ্রামের সালিশদাররা চলে এসেছিলেন। পরে সালিশে বসা নিয়ে দুই দল এক অপরের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একই সময়ে ছোট হামেরদী, খাড়াকান্দি ও বাইশা খালি এলাকার লোকজন দুই দলের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলতে থাকে সংঘর্ষ। সংঘর্ষকারীরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সরকি, কালি, কাতরা, টেঁটা ও সড়কের ইট ভেঙে মাথায় হেলমেট পরে উভয় গ্রুপ সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেয়। সংঘর্ষে ইট ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ৬০ জনের বেশি গ্রামবাসী আহত হন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আমরা পিছু হটি।গ্রামবাসীকে কোনোভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। পরে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলেই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করব।
