গাজীপুরের হায়দ্রাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৭টি রুগ্ন ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়া মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত ১১টায় নিষিদ্ধ ঘোড়া জবাই হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা যায়, অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বাহির থেকে তালা মেরে ভেতরে ঘোড়া জবাই করছিলেন। তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে কাউকে পাওয়া যায়নি তবে সেখান থেকে ৩৭টি রোগাক্রান্ত জীবিত ঘোড়া ও ৫ মণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়। গত এক বছর যাবৎ এই এলাকায় ঘোড়ার মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। একাধিকার অভিযান করা হলেও গোপনে চলছিল তাদের কার্যক্রম ।
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি তাই উদ্ধারকৃত ঘোড়া এবং জব্দকৃত ঘোড়ার মাংসগুলো স্থানীয় একজনের কাছে রাখা হচ্ছে। আগামীকাল সকালে সেগুলোকে গাজীপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের ভেটেনারি সার্জন হারুন রোমান জানান, ঘোড়াগুলোর অধিকাংশ রুগ্ন এবং ঘোড়ার মাংসে টক্সিন রয়েছে, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই ঘোড়ার মাংস ক্রয় এবং খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
