নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। গত দুদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও চোরাগোপ্তা ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে সড়কে যানবাহন চলাচলে। আজ বুধবার ঢাকার সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল কিছুটা কম।
গত দুদিন গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও চোরাগোপ্তা ককটেল বিস্ফোরণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এসব নাশকতা ঠেকাতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। তবে এ অবস্থায় অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হওয়া এড়িয়ে চলছেন।
তবে অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে মোটরসাইকেল, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল। অন্য সময়ের মতো ভিআইপি সড়কে আজও রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। সড়কে বাস চলাচলও স্বাভাবিক।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মিন্টো রোড ও হাতিরঝিল এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকায় গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ প্রাইভেটকারের চলাচল তুলনামূলক কম।
সড়কে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, যানবাহনে আগুন ও বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যক্তিগত গাড়ি কম বের হয়েছে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ডাকা ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে কঠোর সরকার। রাস্তাঘাটে কোনো ব্যক্তি নাশকতা করতে পারেন, এমন সন্দেহ হলেই তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে। কিছু চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করতেও দেখা গেছে।
