বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গণপূর্তের দুর্নীতির মহারাজা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী তামজীদ সেন্ডিকেটের ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে অধিদপ্তর

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ৫, ২০২৫ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণপূর্ত অধিদপ্তরের সুবিধাভোগী দুর্নীতির মহারাজা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কায়কোবাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী তামজীদ হোসেন সমন্বয় সেন্ডকেটটি ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। গত ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকার অনলাইনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী তামজীদ সেন্ডিকেটের সমন্বয় একটি শক্তিশালী দুর্নীতিবাজ সেন্ডিকেট শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে পৈশাচিক কায়দায় উস্কানী প্রদান ও অর্থযোগান দাতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল এ সেন্ডিকেট। আওয়ামী ম্যান” পরিচয়ে বিগত সরকারের শাসনামলে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ, নিজস্ব ঠিকাদারদের সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গঠন, কাজ না করে ভূয়া বিল ভাউচার করে বিল উত্তোলন, বহিরাগত লোক দিয়ে অফিসে কাজ করানো, অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে গণপূর্ত অধিদপ্তরে কায়কোবাদ ও প্রকৌশলী তামজীদ হোসেনের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি অভিযোগ থাকলেও আইন কে থোরাই কেয়ার করে রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানাগেছে, গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের শেষের দিকে নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন।ওই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পৈশাচিক কায়দায় দমনে উস্কানী প্রদান ও অর্থায়ন করার অভিযোগ ছিল তামজীদের বিরুদ্ধে। সরকার পতনের পর জনগণের রোষানলে পড়ে তাঁর চট্টগ্রামে থাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে বিপুল অর্থযোগে তদবির করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই/এম সার্কেল-২ এর অধিনে ই/এম বিভাগ-৫ এ বদলি হয়ে আসেন। তামজীদের ঢাকায় বদলি হওয়ার ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই/এম সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সহযোগিতা করেছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করেছে। নানা দুর্নীতির অভিযোগ থাকা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: কায়কোবাদ চট্টগ্রামে দায়িত্বরত থাকাকালীন তামজীদ তাঁর অধীনে কর্মরত ছিলেন। ওই সখ্যতার মাধ্যমে একান্ত অনুগত হয়ে ওঠা শিষ্যকে নিজের সার্কেলের অধীনে এনে সেন্ডকেটটি শক্তিশালী করে গড়ে তোলেন। তামজিদ একা ঢাকায় বদলি হয়ে আসেননি। তাঁর সঙ্গে চট্টগ্রামের একাধিক আস্থাভাজন ঠিকাদারদেরও নিয়ে এসেছেন। গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বলয় দুর্নীতি বাজ ঠিকাদার সিন্ডিকেট। বিশেষকরে তাঁর ক্যাডার খ্যাত মিঠুনকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। বিদ্যমান আইনের বিধি লঙ্ঘন করে মিঠুনকে অফিসে বসিয়ে কাজ করাচ্ছেন। মিঠুন অফিসে রুম বরাদ্দ দিয়ে কাজ করানোর কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সর্বস্তরের কর্মচারীগণ।এদিকে ওই ঘটনার জেরে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ই/এম বিভাগ-৫ এর সংক্ষুব্ধ ১০ জন কর্মচারী নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আবেদনে তারা মিঠুনকে অফিস থেকে বের করে দিয়ে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। আবেদন করার পর কর্মচারীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উল্টো মিঠুনকে অফিসে বহাল রেখেছেন। অভিযোগকারীদের উপর চড়াও হওয়ায় তামজীদ এর স্বেচ্ছাচারিতা দৃশ্যমান হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মচারী বলেন,আমরা অভিযোগ করার কারনে মিঠুন ও তামজিদ হোসেন আমাদের বদলি,বরখাস্ত করাসহ নানাবিধ হয়রানির হুমকি দিয়ে আসছিল।এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্যে গণপূর্ত উপদেষ্টা, সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ই/এম বিভাগ ৫ এর সংক্ষুব্ধ কর্মচারিগণ। তামজিদ হোসেন আওয়ামী পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১৩ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরে যোগদান করেন। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। চাকরির শুরু থেকে আওয়ামী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে সুবিধা বাগিয়ে নিয়েছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভোল পাল্টে সুযোগ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করছেন। তামজিদ হোসেন প্রায় এক যুগ চাকুরি জীবনে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে প্লট, ফ্ল্যাট,গাড়িসহ অঢেল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন বলে একটি সূূত্র দাবি করছেন। তার অর্জিত সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। তামজীদ হোসেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধান করলে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল দাবি করছেন। ২০১৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত তামজীদ হোসেনের বিশদ আমলনামার বিষয়ে ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এ বিষয়ে আমাদের দৈনিক স্বাধীন কাগজ পত্রিকার একটি অনুসন্ধান টিম নিরলসভাবে তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন।

এসব বিষয় জানতে চেয়ে তামজীদ হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কোন রেসপন্স করছেন না। এজন্য তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করা হয় নি ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
বিশেষ খবর সর্বশেষ