জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার মতে, অতিরিক্ত চুল পড়ার প্রধান কারণ হলো চারটি। কারণগুলো হলো- খুব টাইট করে চুল বাঁধা (টান পড়া), শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার বাদ দেওয়া, চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব, এবং থাইরয়েডের মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এই কারণগুলো এড়িয়ে চলতে এবং চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সঠিক চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি।
চলুন জেনে নি চুল পড়ার চারটি কারণ:
চুল শুকানোর নিয়ম
তোয়ালে দিয়ে ঘসে ঘসে চুল না সুখিয়ে আস্তে আস্তে চুলের পানি বের করবেন। অথবা তোয়ালে মাথায় বেঁধে রাখবেন যাতে আস্তে আস্তে পানি শুষে নেয়। তার পর বাতাসে চুল শুকিয়ে নেবেন।
টাইট করে চুল বাঁধা (টান পড়া)
খুব টাইট করে চুল বাঁধার কারণে হেয়ার লাইনে টান পড়ে এবং চুল পড়ে যায়। চিকিৎসা শাস্ত্রে একে ট্রাকশন অ্যালোপেশিয়া বলা হয়।
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করা
শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। কন্ডিশনার বাদ দিলে চুলের ক্ষতি হয়, কারণ এটি চুলের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করে।
পুষ্টির অভাব
চুলের বৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য প্রোটিন, ভিটামিন (এ, বি, সি, ডি, ই), এবং খনিজ (যেমন আয়রন, জিঙ্ক) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব উপাদানের অভাবে চুল পড়তে পারে।
স্বাস্থ্যগত সমস্যা, থাইরয়েড সমস্যা, গর্ভাবস্থা, প্রসব পরবর্তী সময় এবং অন্যান্য হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণেও চুল পড়তে পারে।
করণীয়
১. তোয়ালে দিয়ে ঘসে ঘসে চুল না সুখিয়ে আস্তে আস্তে চুলের পানি বের করবেন। অথবা তোয়ালে মাথায় বেঁধে রাখবেন যাতে আস্তে আস্তে পানি শুষে নেয়। তার পর বাতাসে চুল শুকিয়ে নেবেন।
২. খুব টাইট করে চুল না বাঁধা এবং চুলে টান পড়ে এমন হেয়ারস্টাইল এড়িয়ে চলা। সব সময় চুল ঢিলা করে বাঁধবেন।
৩. প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। কন্ডিশনার বাদ দিলে চুলের ক্ষতি হয়, কারণ এটি চুলের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করে।
৪. ভেজা চুল না আচড়ানো। চুল খুব কোকড়া না হলে একটু শুকিয়ে যাওয়ার পরে চওড়া জাতিয় চিরুনি দিয়ে আচড়াবেন। এই ছাড়াও প্রোটিন, ভিটামিন, জিঙ্ক ও থাইরয়েডের কারণেও চুল পড়তে পারে।